পীর নেছার কথা-বার্তা ও ভাব-সাবে নিজেকে একজন মস্তবড় আলেম বলে প্রকাশ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তার পরীক্ষা সমূহের ফলাফল দেখলেই বুঝতে বাকী থাকে না, তিনি কত বড় আলেম। শিক্ষা জীবনে একমাত্র আলিম ব্যতীত তার সবগুলো রেজাল্ট ৩য় বিভাগ। কামিলে নিজ যোগ্যতায় ৩য় বিভাগে পাশ করার দুই বছর পর অত্র অঞ্চলের অনেকগুলো কামিল মাদ্রাসা ফেলে ভাল রেজাল্ট করার জন্যে তিনি আশ্রয় নিলেন সুদূর চাঁদপুরের ফরায়েজীকান্দী কামিল মাদ্রাসায়। সেখানে এক আলাদিনের আশ্চর্য চেরাগের সন্ধান পেলেন তিনি। সে চেরাগের বদৌলতে ৩য় বিভাগে পাশ করা নেছার পেয়ে গেলেন একেবারে ১ম বিভাগ। নিজ যোগ্যতার ওপর নিজেরই আস্থা না থাকায় প্রথমে তিনি মৌকরা মাদ্রাসার লাইব্রেরীয়ান হিসেবে নিয়োগ নেন। পরবর্তীতে কিছুটা ক্ষমতা করায়ত্ব করার পর সরাসরি হয়ে যান প্রভাষক। প্রথম প্রথম সাহস করে নবম-দশম শ্রেণীর কিছু ক্লাস নিজের নামে বরাদ্ধ নেন। পরবর্তীতে ক্লাশে ছাত্রদের সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিতে ব্যর্থ হতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত তিনি ব্যস্ততার অজুহাত দেখিয়ে প্রক্সি শিক্ষক দিয়ে ক্লাশ ম্যানেজ করে নিজে ক্লাশ বর্জন করতে থাকেন এবং সে ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে ক্লাশ নেয়া একেবারেই বন্ধ করে দেন। এখন তিনি সম্ভবতঃ বাংলাদেশের একমাত্র প্রভাষক যাকে একটিও ক্লাশ নিতে হয় না। কিন্তু মাসে মাসে বেতন ঠিকই নেন। প্রতিদিনের হাজিরা খাতায় মিথ্যা স্বাক্ষর দিয়ে তিনি সরকারকে বোকা বানিয়ে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা বেতন গুনেন আর মানুষকে হালাল রোজগারের ওয়াজ করেন। তিনি আরও ওয়াজ করেন, পীরের সমালোচনা করা যাবে না এমনকি পীরের কোন কাজ খারাপ মনে হলেও সেটাকে খারাপ বলা যাবে না। এভাবে তিনি তার মুরীদদেরকে বোকা বানিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার জানা ছিল না, সব মুরীদ বোকা নয়। জানা থাকলে বোধ হয় নারী কেলেংকারীর মত জঘন্য কাজটি করার ব্যাপারে তিনি আরও সতর্কতা ও গোপনীয়তা অবলম্বন করতেন। ধুরন্ধর হওয়া সত্ত্বেও তার মাথায় এ কথাটি কেন এল না, এটাই এখন তার নিত্য দিনের আক্ষেপের বিষয়। তবে সতর্ক হয়েও যে শেষ রক্ষা পেতেন তা কিন্তু নয়। কথায় বলে, “চোরের দশদিন, সাধুর একদিন”। দশদিন পর একদিন তিনি ঠিকই ধরা পড়ে গেছেন এবং এভাবে হয়ত আবারও ধরা পড়ার দিন ঘনিয়ে আসছে।
■ পীর নেছারের জ্ঞানের বহর…….
মে 8, 2011 তৈরী করেছেন মোকরা সংবাদদাতা
Posted in Uncategorized | মন্তব্য করুন
- ভন্ডামির প্রতিবাদ করতে এই সাইটটির ঠিকানা সবাইকে জানান। ভিজিট করার জন্য উৎসাহিত করুন।
mokranews এ আপনাকে স্বাগতম।
ভন্ড পীরদের কারণে ধর্ম যেমন বিতর্কিত হচ্ছে, তেমনি সমাজে বিশৃংখলাও সৃষ্টি হচ্ছে। এরা নিজেরা ধর্ম না মানলেও অন্যকে ধর্ম মানার জন্য ওয়াজ করে।
প্রকৃতপক্ষে তারা ধর্ম ব্যবহার করে ব্যবসা করে। এ ব্যবসায় লাভের হার অসীম, পুঁজি নাই বললেই চলে।
তারা শিক্ষাহীন বা অর্ধ শিক্ষিত মানুষের নিকট নিজকে প্রভূর আসনে সমাসীন করে। যদিও বাস্তবে তারা নিজেরা তেমন কিছু জানে না, তবু অনেক কিছু জানার ভান করে।
মানুষকে নিজের যা খুশী তা বুঝায়, আর বলে এগুলো ক্বোরান-হাদীসের বাণী। যদিও কোরান-হাদীসের জ্ঞান তাদের খুব ভাল নয়। এদের কাছ থেকে নিজে দূরে থাকুন এবং অন্যকেও দূরে থাকতে বলুন!
-
সাম্প্রতিক পোস্ট সমূহ
- পিতা বনাব পুত্র
- মোকরা দরবারে পিতা পুত্রের লড়াই শুরু
- মৌকরার পীরের নতুন মিশন শুরু আশ্চ্যর্য হওয়ার কিছু নেই
- মোকরার পীরের বক্তব্য
- দুই পীরের মিথ্যা প্রচারনায় বিভ্রান্ত হবেন না।
- এই দুই পীরের সাথে বর্তমানে জমইয়াতে হিযবুল্লাহর কোন সম্পর্ক নাই
- ■ মোকরার পীর কর্তৃক মাদ্রাসা ছাত্র বলৎকার -এলাকায় তোলপাড়
- ■ মোকরা দরবার ছারছীনা দরবার থেকে আলাদা হওয়ার পথে…
- ■ মৌকরা মাদ্রাসায় এসব কী চলছে! (পর্ব-৪)
- ■ পীর নেছারের জ্ঞানের বহর…….
- ■ ভন্ড পীর নেছারকে নিয়ে প্রকাশিত কিছু খবরের লিংক…..
- ■ মৌকরা মাদ্রাসায় এসব কী চলছে! (পর্ব-৩)
- ■ মৌকরা মাদ্রাসায় এসব কী চলছে! (পর্ব-২)
- ■ মৌকরা মাদ্রাসায় এসব কী চলছে! (পর্ব-১)
- ■ ছারছীনার পীরসাহেব মোকরা দরবারকে কি প্লাসে না মাইনাসে রাখলেন???
ই-মেইল আই.ডি.
mokoranews@yahoo.comঅনলাইন পত্রিকা:
ব্লগটি মোট পড়া হয়েছে
- 51,719 বার
-
Join 7 other subscribers
এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান