মোকরা দরবার মরহুম ওয়ালিউল্লা (রহঃ) কঠোর পরিশ্রম ও সাধনা করে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি বিলাসিতা ও অপব্যয়ী ছিলেন না। চলাফেরায় অহংকারী ছিল না। মাদ্রসার ছাত্র শিক্ষকের প্রতি ছিল তাঁর বিশেষ নজর। তাঁর ইন্তিকালের পর শুরু হল মোকরা দরবারে অনিয়মের মহড়া। দেখার যেন কেউ নেই। বর্তমান পীর নেছার উদ্দিন তার শান-মান ডেকোরেশানের জন্য বিশেষ নজরে সর্বদা ব্যস্ত থাকেন। প্রতিষ্ঠানের ছাত্র শিক্ষক কারো প্রতি কোন নজর নেই। যে যার মতো করে চলছে। মাদ্রাসা তহবিল নিয়ে চলছে হরিলুটের কারবার। সবাই ভিতরে ভিতরে তেলে-বেগুনে জ্বলছেন। অনুগত কমিটি দিয়ে যখন যা মন চায় তা’ই সিদ্ধান্ত নেন। এ ভাবে চলতে গিয়ে দরবার ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম দিনে দিনে ধুলায় লুণ্ঠিত হওয়ার পথে।
আজ বেশ কিছুদিন যাবত পীর নেছারের চারিত্রিক বিষয় নিয়ে চলছে বিভিন্ন রকম আলোচনা। এই আলোচনার শেষ কবে হবে বুঝা যাচ্ছে না। পীর নেছারের পক্ষ থেকে বারবার শুধু বলা হচ্ছে, সব ষড়যন্ত্র। মানুষ পীর নেছারের এসব বিবৃতিতে আশ্বস্ত হতে পারছে না। মানুষ বিভিন্ন রকম হিসেব-নিকেশে ব্যস্ত। কেউ কেউ মন্তব্য করছেন ছারছীনার পীর সাহেব প্রতি বৎসর মোকরাতে একাধিকবার আসতেন। কুমিল্লা জেলায় যে কোন জায়গায় প্রোগ্রাম করলে মোকরা এসে থাকতেন। কিন্তু পীর নেছারের চরিত্র নিয়ে কথা ওঠার পর থেকে মোকরা দরবারে থাকার জন্য আর আসেন না। মানুষ জানতে চায়, এর কারণ কী? তাহলে ছারছিনার পীরও যে নেছারের চরিত্র নিয়ে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন এটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
সম্প্রতি ১২ই এপ্রিল ২০১১ইং মোকরা বার্ষিক মাহফিল উপলক্ষ্যে বিভিন্ন সড়কের উপর প্রায় অর্ধশতাধিক তোরন নির্মাণ করা হয়। এটা শরীয়ত কতটুকু সমর্থন করে তা আলেম সমাজ ভালো বলতে পারবেন। অন্যান্য বৎসর এত তোরন নির্মাণ দেখা যায়নি। ২০১১তে এসে দেখা গেল তোরন নির্মাণের মহড়া। যেখানে মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং-এ অভাব সব সময় লেগেই থাকে, সেখানে তোরন নির্মাণ করে এত টাকা অপচয় করলেন কেন? অপচয়কারী যদি শয়তানের ভাই হয়, তাহলে নেছারকেও কি তা বলা যায় না? তোরন নির্মাণের যে কালচার তিনি শুরু করলেন, তা ভবিষ্যতেও কি চলতে থাকবে? অথচ ছারছীনা দরবারে এত বড় মাহফিলের সময়ও এত তোরন দেখা যায় না।
এসব বিষয় নিয়ে ছারছীনার পীরসাহেব সরাসরি কিছু বলছেন না। বিভিন্ন মাহফিলে শুধু বলছেন, বেআমলী আলেমের তাবেদারী করা যাবে না। এসব কথায় ছারছীনার পীরসাহেব কি বুঝাতে চাচ্ছেন, মানুষ তার হিসেব মিলাতে পারছেন না। এর দ্বারা কি পীর নেছারকে প্লাসে না মাইনাসে রাখলেন?
ভক্ত-মুরিদান ও সাধারণ মানুষ বলছেন, ভবিষ্যতে ছারছীনার পীরসাহেব কি সিদ্ধান্ত নেন, সে জন্য আমাদেরকে আরো অপেক্ষা করতে হবে। ভবিষ্যত বৎসর গুলিতে কি হয়, তা’ই এখন দেখার বিষয়।
পীর নেছার এর অতীত ইতিহাস সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করা দরকার। আমি যতটুকু শুনেছি, তার অতীত ইতিহাসও ভাল নয়। এ ব্যাপারে একটি পোস্ট আশা করছি।
ছারছীনা পীরসাহেবকে মোকরা মাহফিল থেকে এভাবে চলে যেতে আমরা পুর্বে কখনো দেখিনি।
আমার অনুরোধ থাকবে ছারছীনা দরবারের বিরুদ্ধে কোন নিউজ আপনারা প্রকাশ করবেন না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। আমরা আসলে কোন দরবারের বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই না। আমরা শুধু ভন্ডামীর বিরুদ্ধে কথা বলতে চাই। কাজেই যা সত্য, তা আমরা বলবোই। সেটা কার পক্ষে গেল বা কার বিপক্ষে গেল, এটা আমাদের বিবেচ্য বিষয় নয়।